সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু : বাংলাদেশের প্রথম এবং রঙিন ট্যাবলয়েড দৈনিক পত্রিকা ‘মানবজমিন’ ২৪ পূর্ণ করে ২৫ শে পা রাখলো। ২৪টি বছর অনেকগুলো দিন, অনেক দীর্ঘ পথ। আমার জীবনের অসম্ভব সুন্দর সময়ের বড় একটি অংশ কেটেছে এই মানবজমিনের সঙ্গে। প্রকাশনার প্রথম দিন থেকেই পারিবারিক আবহে পার করেছি মানবজমিনে আমার সাংবাদিকতার সুবর্ণসময়। প্রধান সম্পাদক মতিভাই থেকে শুরু করে টেলিফোন অপারেটর পর্যন্ত সবার সঙ্গে ছিল অপূর্ব এক আত্মিক সম্পর্ক। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ভাসিয়ালি-কৃষ্টপুরে ফতোয়াবাজির শিকার রশিদ-কহিনূর দম্পতির আত্মহত্যার খবর, ভিজিএফ কার্ড নিয়ে দেশের সংবাদপত্রের প্রথম নিউজ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের জয়পুরা সফর বাতিল হবার নিউজ, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের প্রেম-বিয়ের গোপন খবরসহ শিল্পী মমতাজের অজানা জীবন কাহিনী, রেসকোর্সের কিংবদন্তি জকি জাহাজ আলীকে নিয়ে অসংখ্য এক্সক্লুসিভ নিউজ, লিড নিউজ হয়েছে আমার হাতে। আজকের মানবজমিনের প্রচারসংখ্যা আহামরি কিছু নয়, কিন্তু আত্মপ্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে লাখের কাছাকাছি চলে যাওয়া সার্কুলেশনের মানবজমিনে শুধু সাংবাদিকতাই নয়, একইসঙ্গে এই মানবজমিনে লিখেছি অনেকগুলো উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধ। 

বলতে দ্বিধা নেই, আমার সাংবাদিক জীবনের পাঠশালা ছিল এই মানবজমিন। বিচিত্র, বিরল সব অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়েছি মানবজমিনে সাংবাদিকতার সময়ে। আজও হিরকদ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি, অনেকগুলো প্রিয়মুখ, শ্রদ্ধেয় মানুষ। এদের অনেকেই আজ দেশের অনেক খ্যাতনামা মিডিয়া হাউসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। অনেকেই ভালোবেসে রয়ে গেছেন মানবজমিনেই। ২০০৬ থেকে অনেকগুলো বছর চলে গেছে আমি মানবজমিনে নেই। বলা চলে সাংবাদিকতাতেই নেই। কিন্তু আমার ভালোবাসায় উজ্জ্বল হয়ে আছে মানবজমিন। মানবজমিনের রজতজয়ন্তীর দিনটিতে মানবজমিন পরিবারের সবার জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকুক প্রিয় মানবজমিন, দীর্ঘজীবী হোক। শ্রদ্ধা-ভালবাসা প্রিয় মতিউর রহমান চৌধুরী, আমার মতি ভাইয়ের জন্য। ফেসবুক থেকে